পঙ্গপালের আতঙ্ক বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে ! করোনা আবহে নতুন পতঙ্গ ঘিরে সরগরম এলাকা

1st June 2020 বাঁকুড়া
পঙ্গপালের আতঙ্ক বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে ! করোনা আবহে নতুন পতঙ্গ ঘিরে সরগরম এলাকা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : পঙ্গপালের তাণ্ডব বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরেও? এখন এই খবরে তোলপাড় নেট দুনিয়া। সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো 'ভাইরাল' এই ছবি। আর সেই 'ভাইরাল' হওয়া ছবির সুলুক সন্ধান করতে আমরা পৌঁছে গেলাম ঐ গ্রামে।   স্থানীয় সূত্রে খবর, বিষ্ণুপুরের লায়েকবাঁধ গ্রাম পঞ্চায়েতের লখ্যাশোল শালবাগানে এসে ঘাঁটি গেড়েছে পঙ্গপালের দল। জঙ্গলের শাল পাতাই এখন তাদের আক্রমণের শিকার। এই খবর পেয়ে সোমবার ঐ এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, সিংহভাগ শাল গাছের পাতার মূল অংশ কোন পতঙ্গজাতীয় প্রাণীর আক্রমণের শিকার। তবে এই ঘটনার পিছনে পঙ্গপালই দায়ী কিনা নিশ্চিত নন কেউই।

   সম্প্রতি উত্তর পশ্চিম ভারতে ব্যাপকভাবে হানা দিয়েছে পঙ্গপাল। উত্তর প্রদেশ-মধ্য প্রদেশের পর এরাজ্যেও যদি পঙ্গপাল হানা দেয় তাহলে মাথায় হাত চাষীদের। এক দিকে দীর্ঘ লক ডাউন, তার পর আমফান ও কালবৈশাখীর তাণ্ডবের সঙ্গে এই নতুন উপসর্গ যোগ হলে কি হবে ভেবে পাচ্ছেননা এখানকার চাষীরা।

স্থানীয় বাসিন্দা সুনীল মুর্ম্মু, বুবাই ঘোষরা বলেন ,  জঙ্গলের মধ্যে হঠাৎ করেই পঙ্গপাল জাতীয় পতঙ্গের উপস্থিতি লক্ষ্য করি। মূলতঃ শাল গাছের পাতা এই পতঙ্গের আক্রমণের মূল লক্ষ্য বলে তারা জানান।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।